Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

নাস ডেইলি: এক মিনিটের পেছনের গপ্পো

এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশী তরুণ জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল সময় ব্যয় (সেই সাথে অপব্যয়ও) হয় অনলাইনে। টু-জির জমানায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া, অন্যের স্ট্যাটাস দেখা, নিজের আনন্দময় মুহূর্তগুলো ছবির মাধ্যমে শেয়ার করা, অন্যদের ছবি দেখা আর বিভিন্ন পেজ থেকে বিভিন্ন নিউজ আপডেট ও মজার মজার নানা বিষয় জানার জন্য স্ক্রল করতে করতেই দিন পেরিয়ে যেত। কিন্তু আমাদের দেশ ইতোমধ্যে থ্রি-জি পেরিয়ে ফোর-জির জগতে ঘোরাঘুরি শুরু করে দিয়েছে।

প্রযুক্তির এ অগ্রগামিতাকে বরণ করে নেয়ার ফলস্বরুপ আমাদের দেশে মানুষ আজকাল ফেসবুকে ভিডিও দেখছে প্রচুর পরিমাণে, আর সেটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন চ্যানেলের খবর, বিভিন্ন তথ্যমূলক ও মজাদার ভিডিও সহ কী নেই মানুষের পছন্দের তালিকাতে? ইউটিউব ছাড়িয়ে এখন ফেসবুকের ভিডিওর জনপ্রিয়তা  বেড়েই চলেছে দিন দিন। বিশেষ করে ফেসবুকে মোটামুটি সক্রিয় যে কারো অ্যাক্টিভিটি লগে যদি ‘Videos You’ve Watched’ অংশটি চেক করা হয়, তাহলে দৈনিক সেখানে ৮-১০টি ভিডিওর সন্ধান পাওয়াটাও এখন মামুলি ব্যাপার।

ভিডিও নিয়ে এই উন্মাদনার যুগে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কোনো ফেসবুক ভিডিও পেজের কথা যদি বলা হয়, যারা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক ও অনুপ্রেরণাদায়ক ভিডিও তৈরি করে যাচ্ছে, তাদের মাঝে নাস ডেইলি (Nas Daily) যে একেবারে শুরুর দিকেই থাকবে, সে কথা নিশ্চিতভাবেই বলা সম্ভব।

নাস ডেইলি; Image Source: Mondoweiss

এজন্য আলাদা করে কোনো জরিপ করা লাগবে না। বরং নাস ডেইলির হয়ে কথা বলবে তাদের পেজের বিভিন্ন অংশই। বর্তমানে (২১ আগস্ট) পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা ৭৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আপনি যদি তাদের পেজে একবার ঢুঁ মারেন, তাহলে দেখবেন সেখানে একেকটি পোস্টে লাইকসহ অন্যান্য রিঅ্যাকশন আছে ৩০-৪০ হাজারের ওপরে, কমেন্ট ২-৩ হাজার করে, শেয়ারের সংখ্যাও একইভাবে কয়েক হাজার। আর প্রতিটি ভিডিও কতবার দেখা হয়েছে জানেন? সেই সংখ্যাটাও এখন প্রতিটি ভিডিওর বেলায় ১০-১২ লাখ ছাড়ায় খুব সহজেই। আর শুধু ফেসবুক পেজের কথাই বা বলছি কেন? বর্তমানে তাদের ফেসবুক গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭০ হাজারের কাছাকাছি, যেটাও তাদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার অন্যতম নিদর্শন।

নাস ডেইলির ফেসবুক গ্রুপ সম্বন্ধে লেখা আছে, “আমি আপনার নিউজফিডকে আরো চমৎকার করে তুলতে চাই শতাধিক দেশের মানুষের গ্রুপে আমি আপনাকে সেসব কন্টেন্টই দেখাতে চাই, যা আপনাকে তাড়িত করবে প্রতিদিন আসা চার শতাধিক পোস্ট থেকে আমরা মাত্র সেরা ১০টি পোস্টই অনুমোদন করি এখান থেকেই বোঝা যায়, এর পেছনের মানুষগুলো তাদের প্লাটফর্মে আসা জিনিসের মান সম্পর্কে কতটা সচেতন।

অন্যদিকে তাদের পেজের ‘অ্যাবাউট’ অংশের কথাটা কিন্তু আরো আন্তরিক, ঠিক যেন এর পেছনের মানুষটা আপনার সামনে বসেই হাসতে হাসতে কথাগুলো বলছে, “আমাকে মেসেজ করুন! আমার নাম নাস। আরবিতে এর অর্থ ‘জনগণ’। নিজের এবং অন্যদের সম্পর্কে আমি ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও বানিয়ে থাকি। আমি একই টি-শার্ট পরি আর আমার একটা কোম্পানি আছে। দ্যাটস ইট!”

নুসায়ের ইয়াসিন; Image Source: SceneArabia

এত জনপ্রিয় একটি পেজে ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে এত কথা চমৎকার সব কথা বলে যাওয়া মানুষটি সম্পর্কে জানেন না অনেকেই। “কে এই নাস? কী করেন তিনি? কেন তিনি ফেসবুকে এত এত ভিডিও আপলোড করেন? তিনি যদি সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফেসবুকে ভিডিওই আপলোড করে বেড়ান, তাহলে তার পেট চলে কীভাবে? কোন দেশের মানুষ তিনি? তার এসব করার পেছনে উদ্দেশ্য কী?”- এমন নানা ধরনের প্রশ্নই ঘোরাঘুরি করে সবার মনে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজকের এই লেখা।

নাস ডেইলির পেজে প্রতিদিন আপনি হাসিখুশি যে মানুষটিকে দেখতে পান, তার পুরো নাম নুসায়ের ইয়াসিন। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের কৃষিপ্রধান শহর আরাবায় (যা ‘আরাবাত আল-বাত্তুফ’ নামেও পরিচিত) বেড়ে উঠেছেন তিনি। ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি ইয়াসিনের দিনগুলো একটি মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে শিক্ষিকা মা, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বাবা এবং অপর তিন ভাই-বোনকে নিয়ে সুখেই কেটে যাচ্ছিলো। ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি হবার সুবাদে আরবি এবং হিব্রু দুটো ভাষাই শিখেছিলেন তিনি।

অবশ্য আজকের দিনে ইয়াসিনকে আমরা যেমন হাসিখুশি ও সবার সাথে সহজেই মিশে যেতে দেখি, শৈশবে তিনি মোটেই তেমনটা ছিলেন না। এ বিষয়টি তিনি নিজেই তার বিভিন্ন ভিডিওতে স্বীকার করেছেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন বেশ লাজুক স্বভাবের, সামাজিকতাবোধটুকুও তুলনামূলক কম ছিল তার মাঝে।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরিবর্তন আসতে থাকে ইয়াসিনের মনমানসিকতায়ও। তাই একসময় যে ছেলেটি লজ্জার বৃত্তে নিজেকে বন্দী করে রাখতো, সেই ছেলেটিই ১৯ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তার ভাষ্যমতে, তখন নামীদামী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য তিনি একরকম ‘ক্ষুধার্ত’ হয়ে গিয়েছিলেন! তাই তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করলেন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়বার জন্য। তিনি হার্ভার্ডে সুযোগ পেলেন, সেই সাথে সৌভাগ্যক্রমে পড়ালেখার খরচ মেটাবার জন্য বৃত্তিও পেয়ে গেলেন। মূলত ইসরায়েলে জন্ম নেয়া একজন আরব হয়ে স্বপ্নগুলো ছুঁতে তাকে কী পরিমাণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে- আবেদনে সেটাই ঠিকমতো উল্লেখ করেছিলেন ইয়াসিন। আর তাতেই তার জন্য হার্ভার্ডের দুয়ার খুলে যায়।

তেল আবিবের এক মিটআপে ইয়াসিন; Image Source: The Times of Israel

২০১৪ সালে ইকোনমিক্সে ডিগ্রি নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন ইয়াসিন। সেই সাথে পড়েছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়েও। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পেপালের অধীনস্ত মোবাইল পেমেন্ট কোম্পানি ভেনমোতে (Venmo) তিনি যোগ দেন একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে। তার আয়টাও ভালোই ছিলো, বছরে ১,২০,০০০ ডলার।

এটুকু পর্যন্ত পড়ে যে কারো কাছে ইয়াসিনের যাত্রাটা বেশ ভালোই লাগবে। মনে হবে, “বাহ! ছেলে তো সুন্দর একটা চাকরি বাগিয়ে নিয়েছে। ওর লাইফ তো সেটেল্‌ড!” কিন্তু সুখী ছিলেন না ইয়াসিন নিজে। রুটিনে বাঁধা, ডেস্কের এককোনে বসে থাকা সেই চাকরি যেন তার দম বন্ধ করে দিচ্ছিলো। বারবার তিনি ভাবছিলেন, এর চাইতে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ালেই বোধহয় জীবনটাকে সত্যিকার অর্থে চেনা যেত, এর প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করা যেত।

বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এদিকটার প্রতি ইঙ্গিত করেই নুসায়ের ইয়াসিন বলেছেন, “আমাকে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছিলো। আর এটা করতে আমার এতটা ভালোও লাগছিলো না।” তাই পাকাপাকি সিদ্ধান্তটা তিনি নিয়েই নিলেন। দেড় বছর ধরে তিলে তিলে জমালেন ৬০ হাজার ডলার। এরপর ২০১৬ সালের একদিন অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে এলেন নিজের পদত্যাগপত্র। তারপর একটি ক্যামেরা ও একটি প্লেনের টিকিট কিনে সোজা চলে গেলেন এয়ারপোর্টে। ততক্ষণে নিজের জীবনের আসল লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছেন, তিনি হবেন একজন বিশ্বভ্রমণকারী।

নিজের ভ্রমণের দিনগুলোকে ভিডিও আকারে ছড়িয়ে দিতে তিনি একটি ফেসবুক পেজ খুললেন, নাম দিলেন ‘নাস ডেইলি’। উল্লেখ্য, আরবি ‘নাস’ শব্দের অর্থ ‘জনগণ’। ফলে নাস ডেইলি পেজের মাধ্যমে নুসায়ের ইয়াসিন যে আসলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিকেই তুলে ধরতে চাচ্ছেন, তা সহজেই অনুমেয়। তিনি শুরুতে ভেবেছিলেন, নিজের ভ্রমণের প্রতিটা দিনই ভিডিও করে সবার সাথে শেয়ার করবেন তিনি। এভাবে চলবে পাক্কা ১,০০০ দিন, অর্থাৎ প্রায় ৩ বছর। তার ভাষ্যমতে, “আমি প্রতিটা দিনকেই কাজে লাগাতে চাইলাম, একটা মিনিটও আমি নষ্ট করতে রাজি ছিলাম না।”

ইয়াসিনের প্রথম গন্তব্যস্থল ছিলো কেনিয়া। আর সৌভাগ্যক্রমে প্রথম বলেই ছক্কা পেটালেন তিনি। কারণ কেনিয়ার রাজধানী এবং একইসাথে সবচেয়ে বড় শহর নাইরোবিতে কাজ করা একটি রাশিয়ান কোম্পানির নজরে পড়ে যান তিনি। তারা তার শুরুর দিককার কিছু ভিডিও দেখে সেগুলো পছন্দ করেছিল। তাই ইয়াসিনকে তারা দায়িত্ব দেয় তাদের ফেসবুক পেজের জন্য এমন কিছু কনটেন্ট বানিয়ে দেয়ার, যার বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিকও দেয়া হবে। এভাবেই ঘুরতে বেরিয়ে একমাসে ৩,০০০ ডলার কামিয়ে ফেললেন ইয়াসিন। এটা একদিকে যেমন তার যাত্রার খরচ মেটাতে সহযোগিতা করলো, তেমনই তার ভিডিওগুলোর জন্য ভালো সংখ্যক দর্শকও যোগাড় করে দিলো।

বলা চলে, এভাবেই আস্তে আস্তে উর্ধ্বমুখী হওয়া শুরু করে আজকের দিনের তুমুল জনপ্রিয় নাস ডেইলির গ্রাফ। ইয়াসিনের ভাষ্যমতে, তার চিন্তা-ভাবনা আর আট-দশজন ভ্লগারের মতো না। সেই সাথে তার এক মিনিটের ভিডিওগুলোও তাকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে জনপ্রিয় ভ্লগারদের থেকে স্বতন্ত্র একটি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আবার সবাই যেখানে যায়, তিনি সেখানে যেতে নারাজ। বরং নিজের দর্শকদেরকে বিশ্বের বিশালতা সম্পর্কে আরো বিস্তৃত ধারণা দিতেই তিনি রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, মাল্টার মতো তুলনামূলক কম ভ্রমণার্থী যাওয়া স্থানগুলোকে তুলে ধরেছেন সবার সামনে। তার ভাষ্যমতে, “বিশ্বের অনেক অংশই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। আমি এমন সব জায়গায় গিয়েছি, যেখানে অধিকাংশ ব্লগারই যায় না।”

ঘুরে বেড়ানো, নিজের শখ পূরণ করা- সবই তো হলো। কিন্তু পেট চালানো? সেটা হয় কীভাবে? আসলে ইয়াসিন নিজের শখ থেকেই জীবিকার্জনের চমৎকার একটি উপায় বের করে নিয়েছেন। বেশ কিছু দিক থেকেই আয় করেন তিনি।

  • একদিকে রয়েছে নাস ডেইলির টি-শার্ট।
  • ইকোনমিক্সে ডিগ্রি থাকার দরুন বিজনেস কনসাল্টেন্সিটা ভালোই পারেন ইয়াসিন।
  • কেউ যদি তার কোম্পানির জন্য মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট বানিয়ে দিতে বলে, তবে সেখানেও আছে নাস ডেইলি।
  • আর সেই সাথে ফেসবুকে তাদের বিভিন্ন ভিডিওতে থাকা বিজ্ঞাপন থেকে আসা রেভিনিউ তো আছেই। এ বছরের শুরুর দিকে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সাথে দেখা করার পর নাস ডেইলি ‘শো’ স্ট্যাটাসে উন্নীত হয়।

অর্থাৎ, ইয়াসিন তার আয়ের রাস্তাটাও ঠিকই খোলা রেখেছেন, যেখান থেকে নিয়মিতভাবেই অর্থ আসছে। এ বছরের মে মাসে বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তার সম্পদের পরিমাণ ২.৫ লক্ষ ডলারের কাছাকাছি, যা তার মতো অন্যান্য ট্রাভেল ভ্লগারদের তুলনায় বেশ কম।

নুসায়ের ইয়াসিনের পরিকল্পনা যে এখন আর আগের মতো সেই ১,০০০ দিনে নেই, তা তো না বললেও চলে। এই আর্টিকেলটি লেখার সময় নাস ডেইলির ওয়েবসাইটে তার ৮৬৩তম দিনের ভিডিওটি শোভা পাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে তার লক্ষ্য নিজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে বই লেখা, টেলিভিশন সিরিজ বানানো, এমনকি রাজনীতিতে নাম লেখানোও। কারণ বুড়োদেরকেই কেবল রাজনীতি করতে দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি।

অনেকেই প্রশ্ন করেন, কেন তার ভিডিওগুলো এক মিনিট দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে? এর জবাবে ইয়াসিনের যুক্তি হলো, “আমরা খুবই ব্যস্ত জীবনযাপন করি। কিন্তু একটা মিনিট খরচ করার মতো সময় আমাদের সবারই আছে।” কেন ইউটিউবের বদলে ফেসবুককেই বেছে নেয়া, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ফেসবুকে যেহেতু মানুষের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়, তাই যোগাযোগের জন্য এটাই সর্বোত্তম পন্থা বলে মনে করেন তিনি।

বেথলেহামের ওয়েস্ট ব্যাংকের এক পুরনো শহরের ভিডিও করার সময় নাস © REUTERS/Mussa Qawasma

ইয়াসিনের দলের অন্যান্য সঙ্গীদের মাঝে রয়েছেন পোলিশ সঙ্গীতজ্ঞ ও ভিডিও ব্লগার অ্যাগন হেয়ার এবং ইয়াসিনের মার্কিন বান্ধবী অ্যালাইন টামির। এসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ধারণকৃত তার ভিডিওগুলো এডিট করা হয় রাতের বেলায় এবং পরদিন সকালে সেগুলো ফেসবুক পেজে আপলোড হয়ে যায়। প্রতিটি ভিডিও করতে সময় লাগে গড়ে ৬ ঘণ্টা এবং সেগুলো এডিট করতে সময় যায় গড়ে ৩ ঘণ্টার মতো।

নাস ডেইলি ও এর উদ্যোক্তা নুসায়ের ইয়াসিনকে নিয়ে লেখার ইতি টানছি এখানেই। যদিও পুরো লেখাটি পড়তে আপনাদের ৭-৮ মিনিট লেগে গিয়েছে, তারপরও তাদের ট্যাগলাইন দিয়ে লেখা শেষ করার লোভ সামলাতে পারছি না- “That’s one minute, see you tomorrow!”

Featured photo: Mondoweiss

Related Articles