Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

স্তন ক্যানসার ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখার সম্ভাব্য চাবিকাঠি আবিষ্কার!

  • খাদ্যে প্রাপ্ত একধরনের প্রোটিন গঠনকারী ব্লক প্রাণঘাতী স্তন ক্যানসার ছড়ানো থেকে বিরত রাখার চাবিকাঠি হতে পারে বলে ন্যাচার জার্নালের এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে।
  • বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন, পরীক্ষাগারে ‘ট্রিপল-নেগেটিভ’ স্তন ক্যানসারযুক্ত ইঁদুরে অ্যাসপ্যারাজিন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড কমিয়ে দিলে তা দেহে ক্যানসার ছড়ানোর ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করে।

বেশিরভাগ স্তন ক্যানসারের রোগী টিউমারের কারণে না, বরং দ্বিতীয় পর্যায়ে টিউমার কোষগুলো রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে তাদের মৃত্যু ঘটে। অ্যাসপ্যারাজিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিডটি টিউমার কোষকে প্রচরণশীল করে তোলে। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, দেহে এই অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে আনলে তা স্তন ক্যানসার ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখে।

এই ফলাফল এখনও মানবদেহে পরীক্ষা করে দেখা বাকি আছে। তবে ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা চালানোর পরে তারা জানান, টিউমার সরিয়ে ফেলার পরে রোগীদের অ্যাসপ্যারাজিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে বিধিনিষেধ প্রয়োগ ও চিকিৎসা প্রদান করা যেতে পারে।

অ্যাসপ্যারাজিন সমৃদ্ধ খাবার; Source: Guardian Nigeria

বিজ্ঞানীরা ‘ট্রিপল-নেগেটিভ’ স্তন ক্যানসার ক্যানসারের কোষ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এটি অন্যান্য ক্যানসার কোষের তুলনায় দ্রুত বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ে। এটি ক্যানসারের সাধারণ চিকিৎসাকে বাধাপ্রদান করে। সাধারণত এর চিকিৎসায় কয়েকটি থেরাপির সমন্বয়ের প্রয়োজন পড়ে। অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় এতে আক্রান্ত হয়ে গড়পড়তায় মৃত্যুর হার বেশি।

গবেষকরা দেখেছেন, প্রাথমিকভাবে একটি টিউমারে অ্যাসপ্যারাজিন উৎপাদনকারী এনজাইম কোষগুলো পরবর্তীতে ক্যানসার ছড়িয়ে যাওয়ার সাথে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত। এল-অ্যাসপ্যারাজিনেজ ড্রাগের কেমোথেরাপি নিলে অথবা অ্যাসপ্যারাজিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকলে এর প্রভাব অনেক কমে যায়।

এই গবেষণার প্রধান রচয়িতা গ্রেগরি জে হ্যানন বলেছেন, “গবেষণার ফলাফল ব্যাপকভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে তা ব্যক্তির প্রাথমিক থেরাপিতে কিভাবে সাড়া দেয় ও তার পরবর্তী জীবনে প্রাণঘাতী ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা, এই দুইয়ের উপরই প্রভাব ফেলবে।”    

তবে এটি শুধু স্তন ক্যানসারই নয়, কিডনি ক্যানসারের মতো অন্যান্য ক্যানসার টিউমারের ক্ষেত্রেও কার্যকরী প্রভাব রাখতে পারে। যদি এটি ভবিষ্যতে মানব দেহেও সমানভাবে ফলপ্রসূ হয়, তাহলে এটি ক্যানসারের বিদ্যমান থেরাপি ও ক্যানসার ছড়ানো থেকে বিরত রাখতে সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।

উল্লেখ্য, দুগ্ধজাত খাবার, গরুর মাংস, হাঁস-মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, ডিম, অ্যাসপ্যারাগাস বা শতমূলী ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসপ্যারাজিন থাকে। তবে বেশিরভাগ শাক-সবজি ও ফলমূলে এর পরিমাণ কম।

ফিচার ইমেজ: Health Magazine

Related Articles