Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

পুনর্গঠিত অঙ্গ প্রতিস্থাপন বাঁচাতে পারে অনেক জীবন

  • হার্ভার্ডের একটি পরীক্ষাগার প্রাণীর অঙ্গকে কোষ থেকে আলাদা করে তাতে মানুষের স্টেমসেল দিয়ে পুনর্গঠন করতে সক্ষম।
  • গবেষকদের মতে, এ ধরনের অঙ্গ একদিন রোগীর দেহে প্রতিস্থাপিত করা যাবে।

অঙ্গ প্রতিস্থাপন আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর ব্যাপার। তবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রতীক্ষারত অবস্থায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ জন মানুষ মারা যায়। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এর বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শূকর ও অন্যান্য প্রাণীর অঙ্গ ঠিকঠাক করে এগুলোর নতুন মালিককে পুনরায় প্রাণের সঞ্চারণা দেওয়া সম্ভব।

সার্জন তার পরীক্ষাগারে এমন এক পদ্ধতি বের করেছেন, যার মাধ্যমে প্রাণীর অঙ্গগুলো ডিটারজেন্টে ধুয়ে তাদের কোষগুলো থেকে আলাদা করে ফেলা যায়। এ পদ্ধতির পরে একটি টিস্যুর কাঠামো পাওয়া যায়, যাতে রোগীর দেহ থেকে স্টেমসেল যুক্ত করা হয়। এর কারণে রোগীর দেহ সেই অঙ্গ প্রত্যাখ্যান থেকে বিরত থাকবে এবং বাকি জীবন তাদের অ্যান্টি-রিজেকশন ড্রাগ নিয়ে কাটাতে হবে না। কাঠামোর মধ্যে কোষগুলো বাড়তে থাকলে পরীক্ষাগারে বায়োরিয়্যাক্টর ব্যবহার করে সেগুলো পাম্প করা হয়। এর ফলে সেগুলো দেহের ভিতরে থাকাকালীন অবস্থায় উদ্দীপিত হয়ে সুস্থ থাকার মতোই সুস্থ স্বাভাবিক থাকে।

Source: futurism.com

গবেষক দলটি ইঁদুর ও শূকরছানা থেকে সফলভাবে কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ও অন্ত্রের অংশ বিশেষ মানবদাতাদের উপযুক্ত হিসেবে পুনর্গঠন করেছে। যদিও ইঁদুর ও শূকরছানার দেহের জন্য মানুষের কোষ সম্বলিত এই অঙ্গগুলো অনুপযুক্ত ছিলো, তবুও পরবর্তীতে মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর জন্য সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ আশ্বাস রেখে কাজ করেছে। দলটি এ ধরনের মানুষের হৃৎপিণ্ডতেও মাংসপেশি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।

অট বলেন, “আপনাদের আইফোন ভেঙে যায়, ব্যাটারি ভেঙে যায়; এগুলো আপনারা বদলে ফেলেন। মেডিসিনও কিছুক্ষেত্রে সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে”।  তিনি আরও জানান, কারও দেহে কী ধরনের অঙ্গ খাপ খাবে, সেভাবে সেটি প্রস্তুত করে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব যেন দেহ সেটিকে প্রত্যাখ্যান না করে।

অটের মতে, মানুষের দেহে এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিস্থাপন করতে এক যুগ সময় লেগে যাবে। অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীর মতোই অট এসময়ের মাঝে প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি আরও উন্নত করতে উদ্যত। দাতাদের অঙ্গ আরও ভালোভাবে সংরক্ষণের থেকে শুরু করে মানুষের জন্য শুকরছানার অঙ্গের জিন সম্পাদনা, এমনকি বায়ো-প্রিন্টিং ও পরীক্ষাগারে মানুষের অঙ্গ বৃদ্ধি পর্যন্ত সম্পাদিত হচ্ছে। প্রতিস্থাপনের জন্য প্রতীক্ষিত রোগীর তালিকার যুগ শেষ হতে চলেছে।

ফিচার ইমেজ:Prosyscom TechNews

Related Articles