Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বোল্ট-সাউদির তোপের মুখে পড়ে দিশেহারা ইংল্যান্ড

  • নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২০.৪ ওভার ব্যাট করে ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
  • গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে দুই দলের এটি প্রথম দেখা।
  • ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩* রান করেন নয় নাম্বারে ব্যাট করতে নামা ক্রেইগ ওভারটন।
  • ট্রেন্ট বোল্ট ছয়টি এবং টিম সাউদি চার উইকেট শিকার করেন।
  • ইংল্যান্ডের পাঁচজন ব্যাটসম্যান রানের খাতা খুলতে পারেননি।

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড। গোলাপি বলের দিবারাত্রি টেস্ট দিয়ে শুরু হয় সিরিজ। এর আগে নিউজিল্যান্ড একটি দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলে পরাজিত হয়েছিল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড দুটি দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলে একটি জয় পেয়েছিল।

টেস্ট ক্রিকেটে সচরাচর কোনো দলকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেখা যায় না। গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ বলেই হয়তো কেন উইলিয়ামসন টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান।

তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করে ইনিংসের ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলে পাঁচ রান করা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুককে সাজঘরে ফেরান বোল্ট। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। একপর্যায়ে মাত্র ২৩ রানে আট উইকেট হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জার রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল ইংলিশরা।

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের দখলে। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের এই অকল্যান্ডেই মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল কিউইরা। ইংল্যান্ডকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান ক্রেইগ ওভারটন। বোল্টের বলে চার হাঁকিয়ে দলীয় সংগ্রহকে ২৭ রানে পৌঁছে দেন তিনি।

টিম সাউদি এবং বোল্ট দশ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন © Anthony Au Yeung/Getty Images

দলীয় ২৭ রানে স্টুয়ার্ট ব্রড রানের খাতা খোলার আগেই সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন। ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৫ম ব্যাটসম্যান হিসাবে ডাক মারেন ব্রড। তার আগে রুট, স্টোকস, বেয়ারস্টো এবং মঈন আলী শূন্য রানে আউট হয়ে মাট ছাড়েন। মাত্র ২৭ রানে নয় উইকেট হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলো ইংল্যান্ড। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিলো ৪৫ রান।

নয়ে নামা ক্রেইগ ওভারটন শেষ উইকেট জুটিতে অ্যান্ডারসনকে সাথে নিয়ে ৩১ রান যোগ করে দলকে বড় ধরনের লজ্জার হাত থেকে বাঁচান। ৩১ রানের মধ্যে অ্যান্ডারসনের সংগ্রহ মাত্র এক রান। অ্যান্ডারসন বোল্টের ৬ষ্ঠ শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়লে ২৫ বলে পাঁচটি চার এবং একটি ছয়ের মারে অপরাজিত ৩৩ রান করা সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন।

ইংল্যান্ড মাত্র ২০.৪ ওভারে ৫৮ রানে সবকটি উইকেট হারায়। ট্রেন্ট বোল্ট ৩২ রানে ছয় উইকেট এবং টিম সাউদি ২৫ রানে চার উইকেট শিকার করেন।

ফিচার ইমেজ: Getty Images

Related Articles