Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ড্যারেন স্যামির সাহসী ব্যাটিংয়ে তামিম, সাব্বিরের পেশোয়ারের জয়

  • পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার জালমির হয়ে অভিষেক ঘটে সাব্বির রহমানের।
  • পেশোয়ার জালমির মূল একাদশে তামিম ইকবাল এবং সাব্বির রহমান দুজনই ছিলেন।
  • তামিম ইকবাল ৩৬ রান এবং সাব্বির রহমান ১১ রান করেন। ফিল্ডিংয়ে তিনটি ক্যাচ লুফে নেন সাব্বির।
  • ড্যারেন স্যামির সাহসী ব্যাটিংয়ে পাঁচ উইকেটে জয় পায় পেশোয়ার জালমি।

বোলিং করার সময় পায়ে চোট পান ড্যারেন স্যামি। এরপর আর ফিল্ডিং করতে পারেননি তিনি। দৌড় দিতে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে নেমে যান তিনি। সাব্বির রহমান ১১ বলে ১১ রান করে আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন স্যামি।পেশোয়ারের তখন জয়ের জন্য ৯ বলে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে স্ট্রাইকে আসেন স্যামি। প্রথম বলেই ছয় হাঁকান তিনি। শেষ ওভারে একটি করে ছয় ও চার মেরে দুই বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন পেশোয়ারের অধিনায়ক।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পেশোয়ার জালমি। দুই বিদেশি ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসনের ৪৭ রান এবং রাইলি রসোর ৩৭ রানের ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা। পেশোয়ারের হয়ে ওহাব রিয়াজ, উমায়েদ আসিফ এবং ড্যারেন স্যামি দুটি করে উইকেট শিকার করেন। পিএসএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে সাব্বির রহমান তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন।

দুর্দান্ত তিনটি ক্যাচ লুফে নেন সাব্বির রহমান; Source – PCB/PSL

কোয়েটার দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখে-শুনে খেলছিলেন তামিম ইকবাল। মোহাম্মদ হাফিজের সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৩ বলে ৫৪ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন তামিম। হাফিজ ৩৪ বলে ২৯ রান করে এবং দলের পক্ষে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে রান আউট হয়ে দ্রুত ফিরে গেলে খানিকটা চাপে পড়ে পেশোয়ার।

তামিম ইকবাল যখন রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন পেশোয়ারের জয়ের জন্য ২১ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিলো। টি-টুয়েন্টিতে কঠিন কিছু না। এই লক্ষ্য অতিক্রম করার দায়িত্ব পড়ে পেশোয়ারের হয়ে প্রথম খেলতে নামা সাব্বিরের কাঁধে। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন। ছয় হাঁকাতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিনি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন তামিম ইকবাল; Source – PCB/PSL

ম্যাচের শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে ব্যাট হাতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠে নামেন ড্যারেন স্যামি। ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, জয় থেকে মাত্র তিনটি শট দূরে ছিলো তার দল। স্যামি যখন প্রথম বল মোকাবেলা করেন তখন জয়ের জন্য ৭ বলে ১৬ রান প্রয়োজন ছিলো। ওভারের শেষ বলে এবং নিজের প্রথম বলে ছয় হাঁকিয়ে শেষ ওভারে জয়ের লক্ষ্য কমিয়ে আনলেন দশে! আনোয়ারের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছয় এবং চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অবিশ্বাস্য স্যামি!

ফিচার ইমেজ – PCB/PCL

Related Articles