Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ড্রোন নির্মাণে পেন্টাগনকে সহায়তা করবে গুগল

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সকে ড্রোন বানাতে সাহায্য করবে টেক জায়ান্ট গুগল।
  • এই ড্রোনে থাকবে বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবস্থা।
  • মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটির একটি ‘পাইলট প্রজেক্ট’-এর জন্য কাজ করবে গুগল। এর মাধ্যমে ড্রোনগুলোকে আরো উন্নত করা হবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে।
  • গুগল জানিয়েছে, এই প্রজেক্টে মানুষের কোনো প্রকার ক্ষতি হয় এমন কোনো আক্রমণাত্মক কাজ করা হবে না।

প্রোজেক্ট ম্যাভেন’ হলো পেন্টাগনের একটি গবেষণামূলক উদ্যোগ যেখানে কম্পিউটার ভিশনকে আরো উন্নত করার কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেম খুব সহজেই ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ থেকে বিভিন্ন বস্তু বা প্রাণীকে চিহ্নিত করতে পারবে। গুগল এই প্রজেক্টেরই অংশ হিসেবে ড্রোনে এই প্রযুক্তি স্থাপনে সাহায্য করতে চলেছে সংস্থাটিকে।

এই প্রযুক্তির বিস্তর প্রয়োগ আছে সেনাবাহিনীতে, যার মধ্যে রয়েছে ড্রোন ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুকে নজরদারি ও ট্র্যাক করা কিংবা সেনা ক্যাম্পে এবং ঘাঁটিগুলিতে স্ট্যাটিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ি এবং মানুষের মত মৌলিক বস্তুগুলো শনাক্ত করা যেতে পারে। কিন্ত সমস্যা বাধতে পারে জটিল দৃশ্য বা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে।

তবে গুগল কিভাবে এবং কী দিয়ে সাহায্য করছে তা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। গত বছর এপ্রিলে শুরু হয় এই প্রজেক্ট। এজন্য বাণিজ্যিকভাবে সহায়তা করবে এমন প্রতিষ্ঠান খুঁজছিল পেন্টাগন- এমনটাই জানান প্রজেক্টের হেড কর্নেল ড্রিউ কিউকর। আর গুগল হলো সেই কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান। এক প্রেস বিবৃতিতে গুগলের এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই প্রযুক্তি তৈরীতে ব্যবহার করা হবে গুগল ব্রেইন টিমের তৈরি করা ওপেন সোর্স টেন্সরফ্লো প্রোগ্রাম, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা নিউরাল নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মতো বুদ্ধিমান স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।

তবে প্রশ্ন উঠতে পারে গুগলের এমন পদক্ষেপে। তাদের তৈরী প্রযুক্তি ব্যবহার করবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটি আর তা কর্মীদের কতটা খুশি করতে পারবে? এছাড়াও এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে নির্ভুল হবে না। ফলে কড়া নজরদারি ছাড়া ঘটতে পারে যেকোনো রকমের দুর্ঘটনা।

গুগল জানিয়েছে, সামরিক গবেষণাের জন্য ব্যবহৃত এআই প্রযুক্তি যখন উপযুক্ত সময় হবে তখন তারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন “আমরা সক্রিয়ভাবে অভ্যন্তরীণ এই বিষয়গুলো অন্যদের সঙ্গে এই গুরুত্বের সাথে আলোচনা করছি। আমরা আমাদের মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারনীতি এবং সুরক্ষার বিকাশ অবশ্যই নিশ্চিত করব।

ফিচার ইমেজ: Gizmodo

Related Articles