Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

পৃথিবীর ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে মঙ্গলের মাটিতে

  • গত ফেব্রুয়ারিতে এলন মাস্কের স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভির সাথে পাঠিয়েছিল টেসলা রোডস্টার ২০০৮ মডেলের একটি গাড়ি। এখন সেটিই মঙ্গল গ্রহের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃথিবীর ব্যাকটেরিয়া মঙ্গলের মাটিতে ছড়ানোর সম্ভাবনায়।
  • গাড়িটি মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করলে এর মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে মঙ্গলেও। যার ফলাফল ভাল হবে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
  • রোডস্টারটি উৎক্ষেপণের আগে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। আর তা থেকেই এই আশংকা।

নাসার প্ল্যানেটারি প্রোটেকশন অফিস মহাকাশে কোনো যান পাঠানো হলে তা যদি কোনো গ্রহে অবতরণ করে তবে তা জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করে। কিন্তু যেগুলো কক্ষপথে ঘুরে বেড়ায় সেগুলোর জন্য মাথা ঘামায় না তারা। আর টেসলা রোডস্টারেরও কথা ছিল মঙ্গলের কক্ষপথে আবর্তন করার। কিন্তু এখন কেউ জানে না টেসলার শেষ গন্তব্য কোথায়।

Source : spaceX

যদি গাড়িটি মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে তবে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়বে সেখানে। আর এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে বলে জানিয়েছে পারডু ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ।

মঙ্গলের মাটিতে এখনো কোনো প্রাণের সন্ধান না পাওয়া গেলেও কোনো অণুজীব যে নেই তা একেবারেই উড়িয়ে দিতে চান না গবেষকগণ। যদি আদপেই থেকে থাকে তবে তার জন্য হুমকীর কারণ হয়ে দাঁড়াবে পৃথিবীর ব্যাকটেরিয়া।

পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী, বায়ুমন্ডলীয় ও গ্রহবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জে মেলোশ বলেন,

“মঙ্গলের মাটিতে অণুজীবের অস্তিত্ব থাকলে পৃথিবীর অণুজীবের দ্বারা সেগুলোর দূষিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। পৃথিবীর অণুজীবগুলো যদি অভিযোজিত হয়ে যায় মঙ্গলের অণুজীবের সাথে এবং এটিকে দূষিত করে দেয় তাহলে আমরা জানতে পারব না যে মঙ্গলের অণুজীবগুলো কেমন ছিল, বা আদৌ পৃথিবীর অণুজীবগুলো মঙ্গলের প্রাণীগুলোর সাথে অভিযোজিত হয়েছে কি না? আমরা জানি না।”

রোডস্টারটির শেষ গন্তব্য কোথায় হবে তা কেউ জানে না। এটি সম্পূর্ণভাবে এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যদিও এটির মঙ্গলের মাটিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম, কিন্তু বাস্তবেই যদি তা কোনো গ্রহে আছড়ে পড়ে তবে তা সত্যিই খারাপ ফলাফল বয়ে আনবে।

সাধারণত এসব ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। আর তাই ক্যাসিনি যখন শনির বুকে আছড়ে পড়ে তখন যাতে সেখানে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে সেগুলো যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে হয়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা পৃথিবীতে এখানে আবিষ্কৃত অনেক ব্যাকটেরিয়া শূন্যস্থান সহ কিছু নির্দিষ্ট অবস্থায় বা তাপমাত্রাতেও সুপ্তাবস্থায় থাকতে সক্ষম। দীর্ঘ সময় পরেও সুবিধামত পরিবেশে সেগুলো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখ ফ্যালকন হেভির সাথে পাঠানো হয় এলন মাস্কের নিজের টেসলা রোডস্টার গাড়িটি।

ফিচার ইমেজ: Onsite Installer

Related Articles