Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

নতুন ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা পারমাণবিক চুক্তিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে: ইরান

  • ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো নতুন ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব শক্তিগুলোর সাথে তেহরানের পারমাণবিক চুক্তিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
  • গত শুক্রবার তার এ বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশ করেছে রয়টার্স

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে খুশি করার জন্য যদি কোনো ইউরোপীয় দেশ ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অ-পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে তারা খুব বড় ভুল করবে এবং তারা পারমাণবিক সমঝোতায় সরাসরি এর প্রভাব দেখতে পারবে।”  

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো বরং পারমাণবিক সমঝোতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার প্রতিশ্রুতি রাখার জন্য বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই ভালো। সে দেশের জন্যও তাদের সুনাম রক্ষার্থে ও ফলপ্রসু পরিবেশে সাফল্যের সাথে এই চুক্তি কার্যকর করা কল্যাণকর।

ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি; Source: irna.ir

আরাকচির এই মন্তব্যটি রয়টার্সের করা এক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও সিরিয়া যুদ্ধে ভূমিকার কারণে তাদের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। ওয়াশিংটনের সাথে তেহরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় এই দেশগুলো।

সেই চুক্তির একটি অংশ হিসাবে ইরান নিজেদের উপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিবর্তে তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করতে সম্মত হয়েছিল। ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার বলে আসছিলেন, তাদের মিসাইল কার্যক্রম নিয়ে তারা কোনো আপস-আলোচনায় আসবেন না।

প্রস্তাবটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলের একটি অংশ। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে বিশ্ব শক্তিগুলো চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে যে সঙ্গতি তৈরি করেছিল, তা রক্ষা করার চেষ্টায় এ পদক্ষেপ নিতে চায় তারা। নিজ দেশের বাইরে ইরানের ক্ষমতাকে হ্রাস করার আরও উপায় আছে, এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখানোও তাদের একটি উদ্দেশ্য।

ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় দেশগুলোকে ১২ জানুয়ারিতে একটি চরমপত্র দিয়েছিলেন। এতে বলা হয় ইরানের সাথে করা পারমাণবিক সমঝোতার ত্রুটিগুলো ঠিক করতে। আরাকচি জানান, আমেরিকা যদি এই সন্ধি থেকে বেরিয়ে আসে তাহলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাবে।

ফিচার ইমেজ: Reuters UK

Related Articles