Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

প্যারিসের রিটজ হোটেলে ডাকাতি: ৪৭ লাখ ইউরোর পণ্য লুণ্ঠন!

প্যারিসের রিটজ হোটেলের গহনার দোকান থেকে ৪.৭ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের পণ্য ডাকাতি করেছে সশস্ত্র ডাকাতদল। গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে।

পাঁচজন ডাকাত কুড়াল ও বন্দুক নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে ডিসপ্লে কেসগুলো ভেঙে লুটপাট চালায়। স্কুটারে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজন টহল পুলিশের সাথে তাদের ধাক্কা লাগে। সেই পুলিশ সদস্য তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি দুজন পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাস্থলে পুলিশ; Source: telegraph.co.uk

স্থানীয় সংবাদপত্র ‘লা প্যারিসিয়েন’ জানায়, ডাকাতদের থামানোর জন্য টহল পুলিশ বৈদ্যুতিক অস্ত্র টেজার ব্যবহার করে। শহরের পুলিশ কমিশনার এক টুইটার বার্তায় পুলিশ অফিসারদের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার কারণে ধন্যবাদ জানান।

হোটেলের একজন কর্মচারী বলেন, “আমরা একটি জোরালো আওয়াজ ও রাস্তায় অনেক কোলাহল শুনতে পাই। পথচারীরা হোটেলে আশ্রয় নেয়।” প্রত্যক্ষদর্শীদের জানায় যে তারা গুলিবর্ষণের শব্দ শুনেছে।

ঘটনাস্থল প্লেইস ভেনডোমে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী বসিয়ে পুরো এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই এলাকার প্রচুর নামীদামী ফ্যাশন হাউস ও গহনার দোকানগুলো প্রায়ই সশস্ত্র ডাকাতির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

রিটজ হোটেল; Source: Wikimedia Commons

এর আগেও ২০১৬ সালের মার্চ মাসে রিটজ হোটেল থেকে গ্রেনেড ও বন্দুকের মুখে ৬ মিলিয়ন সমমূল্যের পণ্য ডাকাতি হয়। তবে সবচেয়ে আলোচিত ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের অক্টোবরে, মার্কিন তারকা কিম কার্দাশিয়ানের সাথে। পাঁচজন ডাকাত বন্দুকের মুখে তার কাছ থেকে প্রায় নয় মিলিয়ন মূল্যের স্বর্ণ ও হীরার গহনা নিয়ে যায়।

বিলাসবহুল ফাইভ স্টার হোটেল রিটজ প্যারিসের সিন নদীর দক্ষিণ তীরে প্লেইস ভেনডোমে অবস্থিত। মোহাম্মাদ আল ফায়েদের এ হোটেলটি চার বছর সংস্কারের পরে গত বছর পুনরায় খোলা হয়। হোটেলটি চার্লি চ্যাপলিন, কোকো শ্যানেল ও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মতো বিখ্যাত মানুষদের স্মৃতি বিজড়িত। প্রিন্সেস ডায়না ও দোদি আল ফায়েদ তাদের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার দিন এ হোটেল থেকেই যাত্রা করেছিলেন।

ফিচার ইমেজ: AFP

Related Articles