Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দক্ষিণ কোরিয়ার হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৭, আহত ১০০

দক্ষিণ কোরিয়ার মিরইয়াং শহরের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়  সময় শুক্রবার সকাল ৭.২০ এ হাসপাতালটির জরুরী কক্ষে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।  কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে আহতদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ছয়তলা এ হাসপাতাল ভবনের প্রথম দু’তলায় আগুন লেগে যায়। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্ধারকর্মীদের তিন ঘন্টা সময় লাগে। কর্তৃপক্ষ এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিবৃতি দেওয়ার সময় হাসপাতালটির পরিচালক রোগী ও ভুক্তভোগীদের স্বাজনদের কাছে মাথা নুইয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল;  Source: 680 News

মিরইয়াং শহরের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চুন জায়-কিয়ুং এর ধারণা, নিহতদের অধিকাংশই বয়স্ক রোগী ছিলেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালটিতে অনেক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে এবং সেই সাথে বয়স্ক রোগী ছিলেন। রোগীদের মাঝে অনেকেরই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ছিল।” অধিকাংশ নিহতের ঘটনাই নিশ্বাসের মাধ্যমে ধোঁয়া নেওয়ার কারণে ঘটেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, জরুরী শাখার কর্মীরা আগুন নেভাতে লড়ছে। হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের উদ্ধারকাজে ব্যস্ত, হাঁটতে অক্ষম এমন অনেক রোগীকেই কাঁধে করে বের করে আনতে হয়েছে। হাসপাতাল সংলগ্ন এক দোকানের মালিক কিম দায়-উন জানান, অনেক রোগীর বয়সই ৮০-৯০ বছরের, যারা অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না।

শুক্রবার বিকালে জরুরী কর্মীবৃন্দ হাসপাতাল সংলগ্ন একটি দেয়ালে ভুক্তভোগীদের নাম শনাক্ত করে একটি তালিকা টাঙিয়ে দেন। রোগীর আত্মীয়-স্বাজনরা তালিকাটি দেখতে সেখানে ভীড় জমান।

উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত উদ্ধার কর্মীরা; Source: South China Morning Post

দক্ষিণ কোরিয়ার জেসন শহরের একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ জন নিহত হওয়ার এক মাসের কম সময়ের মাঝে আবার এ ঘটনাটি ঘটলো। গত ডিসেম্বরে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ভবনটির মালিকের উপর অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ম লঙ্ঘের এবং এ কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে মানুষ হতাহতের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়াও ২০১৪ সালে জ্যানসেয়ং এর একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ২১ জন রোগী মারা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সাম্প্রতিককালের এ অগ্নিকাণ্ডে নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের সক্ষমতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। শুক্রবারের অগ্নিকাণ্ডের পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন একটি জরুরী বৈঠক ডেকেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তাই খুব দ্রুতই তারা এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করবেন।

ফিচার ইমেজ: ABC7 Los Angeles

Related Articles