Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

প্রত্যাবাসনের আলোচনার পরে ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’ থেকে পালিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা

  • বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মাঝে অবস্থিত ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’ থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে
  • দু’দেশের মাঝে তাদের প্রত্যাবসন নিয়ে আলোচনা বসলে তারা পালিয়ে যায়।
  • জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা আশঙ্কা জানিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তের বেড়ার বাইরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৫,৩০০ জন মানুষকে তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করেই জোরপূর্বক মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ বর্ডারগার্ডের কর্মকর্তা মেজর ইকবাল আহমেদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে নো ম্যান’স ল্যান্ডে থাকা প্রায় অর্ধেক মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করে এদেশের শরণার্থী শিবিরে চলে এসেছে।  তিনি বলেন, “তারা আতঙ্কের কারণে সে স্থান ত্যাগ করছে। বর্তমানে নো ম্যান’স ল্যান্ডে ২,৫০০-৩,০০০ মানুষ আছে। আমরা তাদের মাঝে কিছু মানুষের সাথে কথা বলেছি এবং তাদেরকে ফিরে যেতে বলেছি। তারা জানিয়েছে, তারা পারবে না।” 

দু’পক্ষের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ২০ ফেব্রুয়ারি দেখা করেন এবং এলাকাটি পরিদর্শন করেন। নো ম্যান’স ল্যান্ডে অবস্থানকারীদের নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দেওয়া কথা অনুযায়ী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয় নি। ২০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে শত শত পরিবার বাংলাদেশে চলে গেছে।

Source: The Daily Star

তিনি বলেন, “আমরা সবসময়ই ভয়ে আছি। আমরা শিবিরে যাচ্ছি না।” এ শিবিরগুলো মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সাথে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত করার পরে সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য স্থাপন করেছিল। তিনি আরও বলেন, “জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই। আমরা মিয়ানমার সরকারের কাছে সকল মৌলিক অধিকারসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতোই নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা দাবি করছি।”   

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র বুধবারে জানান, সে স্থানটি মিয়ানমারের এলাকা। তিনি বলেন,”নিয়মানুযায়ী তারা সীমান্তের ১৫০ ফুটের মাঝে অবস্থান করতে পারে না। তারা সেখানে এমন অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য অবস্থান করে যেন মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী ও সরকারি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অপসারিত করে। গণমাধ্যম, বিশেষত রয়টার্স ও মানিবাধিকার সংস্থাগুলো চাপ প্রয়োগ করবে এবং অভিযোগ করবে যে তাদেরকে অপসারিত করা হচ্ছে। এটি মিয়ানমারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি ও সমালোচনা করার একটি ফন্দি।”     

তিনি আরও বলেছেন,“আমরা খবর পেয়েছি সেখানে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। এই স্থানটি সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় অথবা স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে এবং তারা উভয় পাশেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে।”   

ফিচার ইমেজ: The National

Related Articles