Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সিরিয়ায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটের সময় পিছিয়েছে জাতিসংঘ

  • জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির উপর করা প্রস্তাবের উপর ভোটের সময় পিছিয়ে দিয়েছে।
  • ভোটটি গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মানসুর আইয়াদ আল-ওতাইবি জানান, পূর্ব ঘুতা ও সিরিয়ার অন্যান্য স্থানে হওয়া হত্যাযজ্ঞ থামাতে একটি খসড়া প্রস্তাব শনিবার ভোটের জন্য উত্থাপিত হবে। ২৪ ঘন্টা বিলম্বের ফলে রাশিয়ার সাথে সুইডেন ও কুয়েত শেষ মুহূর্তে আপোসে আসার জন্য আলোচনার সুযোগ পেয়েছে। সুইডেন ও কুয়েত যুদ্ধবিরতির এ খসড়া দান করে। কিন্তু রাশিয়া সিরিয়ার বাশার আল আসাদের পক্ষে অবস্থানকারী এবং এ প্রস্তাবের বিপক্ষে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি টুইটারে টুইট করে বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য যে রাশিয়া যুদ্ধবিরতির ভোট থামিয়ে দিচ্ছে, যার ফলে সিরিয়াতে মানবতার অভিগমন ঘটাতো।” 

সেখানে সাহায্য ও চিকিৎসার সুবিধা প্রবেশাধিকারের জন্য ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। খসড়া তৈরির ৭২ ঘন্টার মাঝেই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রাশিয়ার সমর্থন পাওয়ার জন্য তা বিলম্বিত হয়।

Source: REUTERS/Bassam Khabieh

পূর্ব ঘুতায় নিহতের সংখ্যা ৪৭০ জন ছাড়িয়েছে। গত রবিবার থেকে দামাস্কাসের উপশহরে ১২৭ জন শিশুসহ ৫০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং আরও ২,৪০০ জন আহত হয়েছে। রাশিয়া সমর্থিত সিরীয় বাহিনী এ অঞ্চলে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।

কূটনীতিবিদরা জানান, মস্কো নির্দিষ্ট করে বলতে চাচ্ছে না যুদ্ধবিরতি আসলে কখন শুরু হবে। তাৎক্ষণিকভাবে এটি বোঝা যায়নি যে, রাশিয়া আসলে শনিবারে কিভাবে ভোট দেবে। খসড়ার ভাষায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কোনো খসড়া অনুমোদিত হতে ৯টি পক্ষে ভোট এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স থেকে কোনো ভেটো পাওয়া যাবে না।

জাতিসংঘে সুইডেনের দূত ওলোফ স্কুগ বলেন, “আমরা হাল ছেড়ে দেব না। আমি বিশ্বাস করি কাল আমরা জোরালো, অর্থপূর্ণ ও প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু আদায় করতে পারবো।

সিরিয়াতে এর আগের যুদ্ধবিরতিগুলোর ভালোভাবে লড়াই শেষ করার উদাহরণ নেই। পূর্ব ঘুতার শহর ও খামারগুলোতে ২০১৩ সাল থেকেই সরকারি অবরোধ চলছে। গত বছর থেকে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুতের সংকটে অবস্থার আরও অবনতি হয়। গত শুক্রবারে এ অঞ্চলটিতে একটানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো বোমা হামলা হয়। ২০১৬ সালে সরকার আলেপ্পোর বিদ্রোহী অঞ্চল দখল করে নিলে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ সবচেয়ে খারাপ আকার ধারণ করে।

কোনো সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে ঘোলাটে করে দেওয়া সিরিয়া সরকারের বারংবার ব্যবহৃত কৌশল। এর মাধ্যমে তারা দীর্ঘ অবরোধ ও সামরিক আক্রমণের দ্বারা বিদ্রোহীদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে।

Featured Image Source: Qusay Noor/Anadolu agency/Getty Images

Related Articles