Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

রিয়াল মাদ্রিদ ২০২১-২২: এই রিয়াল মাদ্রিদকে কেবল ভাগ্যের চশমায় দেখা অনুচিত

জেমি ক্যারাঘার মানতে পারেননি, মাকমানামান মানতে পারেননি, মানতে পারেননি মাইকেল ওয়েনও। বিটি স্পোর্টসের অনেক বিশেষজ্ঞই মানতে পারেননি যে রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনালে ওঠার যোগ্য। জেতা? না, তা সম্ভব নয় লিভারপুলের সাথে। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল তারকা ম্যাকমানামান বলে দিলেন, রিয়াল এখন আর বার্নাব্যুতে নেই। বার্নাব্যু জাদু আর কাজ করবে না! শনিবার রাতে শেষ বাঁশি বাজার পরও একটু আগেই বলা কেউ মানতে পারছেন না যে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন। ইংলিশ চ্যানেলভিত্তিক বোদ্ধাদের অনেকেই পিএসজির সাথেই রিয়াল মাদ্রিদের বিদায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল। এরপর ক্রমাগত চেলসি, ম্যানসিটির সাথে জয়গুলো আখ্যা পেল বার্নাব্যু ম্যাজিক, সৌভাগ্যসহ নানা ভাষায়। এদিকে, সাবেক আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েংগার, যিনি ইপিএলের সর্বকালের সেরা কোচদের একজন, অবসরের পর এখন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। চার দশকের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতার চোখে বললেন এক প্রণিধানযোগ্য কথা,

দিনশেষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ আর পাঁচটা প্রতিযোগিতা নয়। এখানে কোয়ালিটির চেয়ে মানসিকতা, আসল মুহুর্তে খেল দেখানো, ইতিহাস, স্নায়ুচাপ, প্রতিটা মুহূর্ত সজাগ থাকাই বেশি পার্থক্য গড়ে দেয়।

ইতিহাস ও রিয়ালের মানসিকতা

বেনজেমা ও ক্যাসেমিরো; Source: Madrid Zone/Twitter

চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মানসিকতা ফ্যাবিও কাপেলোর মুখ থেকে শোনাই ভালো। রিয়ালের অভিজ্ঞতা তার ভাষায় ছিল নিজেকে সম্পূর্ণ করার সবচেয়ে বড় ধাপ তিনি যখন মাদ্রিদে যোগ দেন, তখন গত চার বছরে কোনো লীগ জেতেনি রিয়াল। ৩১ বছর হয়ে গেল, কোনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নেই। তবুও গ্রাউন্ডসম্যান থেকে শুরু করে সবাই নিজেদের অন্তঃস্থল থেকেই নিজেদের সেরা ভাবত। তিনি লীগ টেবিলে শীর্ষে, কিন্তু বাবুর্চিও বলতেন, “খুব ভালো কাজ করছ, কিন্তু আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এনে দাও, আমাদের স্থান ঐখানেই!” এই মানসিকতার বীজ জেন্টো, ডি স্তেফানোর আমলে বপন করা। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ট্রফি জয় প্যারেডে পেরেজ ১৮ ঘন্টা পার হতে না হতেই বললেন, “চলো, এবার ১৫ তম নিয়ে ভাবি!

ম্যানসিটির সাথে দ্বিতীয় ম্যাচে রিয়াল তখনও পিছিয়ে। ৫৫ মিনিট চলে, সিটি কর্নার পেল। অথচ ক্যামেরায় ধরা পড়ল বেনজেমা, ক্যাসেমিরো কী অবলীলায় কী একটা বিষয় নিয়ে খুনসুটি করছে! ম্যাচের পর সেবায়োসের টুইটে জানা গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। সে তরুণ খেলোয়াড়, তার গলা দিয়ে উত্তেজনায় খাবার নামছে না, রাতে ঘুমও হয়নি। ওদিকে ম্যাচের চার ঘন্টা আগে কারভাহাল, মদ্রিচরা নাকি তাস নিয়ে বসেছে!

মানসিকতার একটা ফুটবল তাত্ত্বিক উদাহরণ দেওয়া যাক। সিটির মাঠে প্রথম লেগে রিয়াল যখন ২-০ তে পিছিয়ে, একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছে সিটি। মনে হচ্ছিল, আরেকটা ২০১৪ বিশ্বকাপের ব্রাজিল-জার্মানির সেমি ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হওয়া স্বাভাবিক, তখনই একটা হাফ চান্সে বেনজেমার অসাধারণ গোল। ঠিক একইভাবে ফিরতি লেগে ৮৯ মিনিটে রদ্রিগোর প্রথম গোলের পর প্রাণ ফিরে পাওয়া রিয়াল যখন একের পর এক আক্রমণ করছে, তখন সিটির কোচ, খেলোয়াড় সবাইকে দেখে মনে হচ্ছিল ইতোমধ্যে পরাজয় মেনে নিচ্ছে।

একই ঘটনা ছিল পিএসজির সাথে প্রথম লেগে, মাদ্রিদ মুহুর্মুহু আক্রমণের শিকার। আবার দ্বিতীয় লেগে দশ মিনিটের ঝড়েই পিএসজি কুপোকাত। অথচ ২০১৪-১৮ এর মধ্যে এমন বহু সময় দেখানো যায় যে, প্রতিপক্ষ মোমেন্টাম পেয়ে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকই দাঁতে দাঁত চেপে ঐ সময়ে একটা সমাধান বের করে ফেলত। আরো সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো ভিনিসিয়ুসের গোলের পর ৩০ মিনিট লিভারপুলের দুর্বার আক্রমণ ঠেকিয়ে যাওয়া। অথচ এমনই অবস্থানে হেরে গিয়েছিল ম্যানসিটি, পিএসজি। তা-ও ৩০ মিনিটে নয়, ৫-১০ মিনিটের ঝড়ে। যদিও বর্তমানে সেসব বিশেষজ্ঞের বদৌলতে আমরা বিশ্বাস করি যে, আসলে গোল না, মানসিকতা না, গোল ঠেকানো না, কেবল সুযোগ তৈরিই যোগ্য-চ্যাম্পিয়নের একমাত্র গুণ!

আমাদের কাছে কি সঠিক জিনিসটা তুলে ধরা হয়?

রিয়াল মাদ্রিদের ফাইনাল নিয়ে মাইকেল ওয়েন; Source: Daily Mail

কোনো নির্দিষ্ট লীগের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে নয়, পাঠকের কাছে চিন্তনের জন্য একটা প্রশ্ন রাখা যাক। একসময় লা লীগাকে বলা হতো দুই ঘোড়ার রেস, রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সা নাকি এমনিতেই বহু ম্যাচ চার-পাঁচ গোলে জেতে ইত্যাদি নানা কিছু! অথচ এখন ইপিএল লিভারপুল আর ম্যানসিটির দাপটের ক্ষেত্র, অনেক ম্যাচে এই দুই দল বড় ব্যবধানে জেতে। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সার এত দাপটে আর জেতা হয় না। এর কারণ কী?

আসল কারণ লীগ না, আসল কারণ কোয়ালিটি। যখন স্পেনে মেসি, রোনালদো, মারিয়া, ইনিয়েস্তা, ওজিল, জাভিরা খেলত, তখন বাকি দলগুলোর সাথে ব্যবধান ছিল বিশাল। এখন ইপিএলে লিভারপুল-ম্যানসিটির সাথে বাকিদের ব্যবধান ঠিক এই পর্যায়েই চলে এসেছে। কিন্তু এখন তা-ই বলে ইংলিশ লীগকে কেউ কিছু বলছে না। আসলে শুধু ফুটবল না, বিশ্বের সব কিছুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্যিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন, সুন্দর সম্প্রচারসহ ইপিএলকে যেভাবে সাজানো হয়েছে- তা নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা লীগের তকমা ধরে রাখবেই। এই কাফেলায় সঙ্গী ইংলিশ বিশেষজ্ঞরাও। বার্সার উদীয়মান আনসু ফাতি, গাভি, পেদ্রিদের বা রিয়ালের মিলিতাও, রদ্রিগোদের নাম খুব স্বল্পোচ্চারিত হলেও এর চেয়ে কম প্রতিভাবান ইপিএলের তরুণ খেলোয়াড়রাও বহু গুণ বেশি দৃষ্টি কাড়ে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও রিয়াল মাদ্রিদকে ক্রমাগত অযোগ্য প্রতিভাত করার এটাও একটা পরোক্ষ কারণ হতে পারে। অথচ, পরিসংখ্যান অন্য কথা বলে। ইউরোপিয়ান ফাইনালে ১২ বার ইংলিশ দল বনাম স্প্যানিশ দলের লড়াইয়ে ১১ বারই জিতেছে স্প্যানিশরা!

মৌসুমের শুরুর রিয়ালের অবস্থা কী ছিল?

বিখ্যাত মাঝমাঠ ত্রয়ী; Source: Sporting News

রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজের সুপার লীগ প্রকল্প ব্যর্থ হলো, ফুটবল বিশ্বে তিনি ভিলেন। পেরেজ রিয়াল মাদ্রিদের সমার্থক, তাই এ ধাক্কা ছিল পুরো ক্লাবের জন্যই। এর আগে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে ১৫ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচিয়ে এসেও শেষ দিনে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে লীগ হারল রিয়াল, চ্যাম্পিয়ন্স লীগ সেমি ফাইনালে হার চেলসির কাছে। বার বার রিয়ালকে জয়ধারায় ফেরানো জিদান আবার বিদায় নিলেন। চলে গেলেন রিয়ালের অধিনায়ক, মূল নেতা আইকনিক রামোস, এবং তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী রাফায়েল ভারানে। ৭ বছরের এই জুটি এক সপ্তাহের ব্যবধানে ক্লাব ছাড়েন। সেই ডিফেন্সের ভার পড়লো এক আনকোরা মিলিতাওয়ের ঘাড়ে, যিনি কিনা আগের মৌসুমে ৭৫ ভাগ সময় বেঞ্চে বসে ছিলেন, ফ্রিতে দলে আসা মেইকশিফট সেন্টার ব্যাক আলাবা আর নাচোর উপর। কোচ হিসেবে আসার কথা অ্যালেগ্রির। সব ঠিক, তখন তিনি তার সাবেক ক্লাব জুভেন্টাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হতবিহবল পেরেজ বিকল্পের অভাবে নিয়ে আসেন কার্লো আনচেলত্তিকে, যিনি অনেকের চোখেই তার সেরা সময় পেরিয়ে এসেছেন, কিংবা আধুনিক কোচিংয়ের সাথে তাল মেলাতে পারেন না। বলা বাহুল্য, তার দল এভারটন ছিল ইপিএলের দশম দল।

সাফল্যের আসল নায়ক বেনজেমা; Source: Marca

এসে আনচেলত্তি পেলেন চোটজর্জর, বিগতশ্রী তারকা হ্যাজার্ড, তরুণ ভিনিসিয়ুস যিনি সেই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দুর্বল শট আর গোল মিসের জন্য তামাশার পাত্র; বিগ-ফ্লপের তারকায় ভিনির পাশাপাশি নাম উঠে গেছে রদ্রিগোরও। আসেনসিও চোটের পর আর আগের ফর্মে নেই। বেলের ফুটবলের দিক থেকে টান চলে গেছে, বেনজেমার রিপ্লেসমেন্ট হতে আসা লুকা জোভিচের সাকুল্যে এক বছরে দুই গোল। একমাত্র ফর্মে আছেন বেনজেমা, আর সেই পুরাতন ক্রুস-মদ্রিচ-ক্যাসেমিরোর মাঝমাঠ। দলে ভেড়ানো হয় ফ্রান্সের ১৮ বছর বয়সী কামাভিঙ্গাকে। কোনো রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকই এই দল নিয়ে আশাবাদী ছিল না। অথচ এই দলই জিতে নিল লীগ, চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ডবলসহ তিনটি ট্রফি। কোয়ালিটি অনুযায়ী এই দল মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে-ডি মারিয়াসহ তাবৎ তারকাখচিত পিএসজি, পেপ গার্দিওলার ‘ক্যালকুলেটেড মেশিন’ তর্কসাপেক্ষে যাদের বেঞ্চও রিয়াল মাদ্রিদের মূল দলের সমতু,ল্য কিংবা অর্ধযুগে তিলে তিলে ক্লপের হাতে গড়ে তোলা হেভি মেটাল লিভারপুল- কারও সাথেই তুল্য নয়। তাহলে রিয়াল মাদ্রিদের কী ছিল? বেশিরভাগই অ-ফুটবলীয় জিনিস: ঐতিহ্য, হার না মানা মানসিকতা, কিছু উজ্জীবিত বা পুনরুজ্জীবিত তরুণ, একজন ম্যানেজার যিনি সম্ভবত দলের সবচেয়ে বড় বন্ধু যার জন্য দল সর্বস্ব দিতে পারে। পার্থক্য হলো, রিয়াল মাদ্রিদ তার শক্তিমত্তা কাজে লাগিয়েছে, বাকিরা পারেনি। 

প্রত্যাবর্তনের এক নায়ক রদ্রিগো; Source: Eurosports

হার না মানা মানসিকতা

শুধু পিএসজি, চেলসি কিংবা ম্যানসিটির সাথে প্রত্যাবর্তন না, এই মৌসুমে এমন মোট প্রত্যাবর্তন করেছে রিয়াল মাদ্রিদ নয়বার। একটা অন্য উদাহরণ দেওয়া যাক। সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হচ্ছে সেভিয়ার মাঠে। এই ম্যাচ হারলে এবং এরপর আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে পয়েন্ট খোয়ালে বার্সা-সেভিয়া রিয়ালের হাতছোঁয়া দূরত্বে চলে আসত, লীগ জমে উঠত। এমতাবস্থায় প্রথমার্ধে ২-০ তে পিছিয়ে রিয়াল, প্রচন্ড রকম বাজে খেলছে। ৪৯, ৮১ ও ৯৩ মিনিটে গোল দিয়ে জিতে নেয় ম্যাচ, আর এই ম্যাচেই মোটামুটিভাবে লীগ নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদের। মনে করিয়ে দেওয়া ভাল, ম্যাচটি কিন্তু বার্নাব্যুতে হয়নি যে বার্নাব্যু জাদুর ভরসায় উতরে গেছে। এভাবে প্রয়োজনের সময়গুলোয় নয়-নয়বার ফিরে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফার্গি-টাইমের মতো একেও কেবল ভাগ্যের যুক্তিতে বেঁধে ফেলা অনুচিত। তরুণ কিছু খেলোয়াড় আর অভিজ্ঞদের মিশেলে একই মৌসুমে একে একে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন, ইতালির চ্যাম্পিয়ন, ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লীগ চ্যাম্পিয়নসহ শাখতার, লিভারপুলদের হারানো কি চাট্টিখানি কথা?

সমালোচনার যৌক্তিকতা

কোয়ালিটির বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ হয়তো ইউরোপ সেরা নয়, কিন্তু অনেক দিক মিলিয়ে ও সাফল্যের বিচারে অবশ্যই ইউরোপ-সেরা। মাইকেল ওয়েন ম্যাচের আগে বলেছিলেন- এই লিভারপুলের সাথে রিয়াল মাদ্রিদ দাঁড়াতেও পারবে না। হারের পর তা সহ্য না করতে পেরেই হয়তো বলেছিলেন, সামনের সপ্তাহে আবার খেলা হলে কি রিয়াল মাদ্রিদ পারবে? অথচ ২০১৮ ফাইনাল ও গত মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনাল দুবারই লিভারপুল হেরেছে ৩-১ গোলে। অনেক ইংলিশ ফুটবল বোদ্ধার এই উন্নাসিকতা অনেকটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঠেকে। বায়ার্নের সাথে চেলসির ফাইনাল জয়কে ডিফেন্সিভ মহাকাব্য হিসেবে দেখা হয়, লিভারপুল-টটেনহ্যাম, চেলসি-ম্যানসিটির চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালকে ইপিএলের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠত্বের ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হলেও রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদের দুবার ফাইনাল নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য হয় না। কখনও রেফারিং, কখনও ভাগ্য, কখনও প্রতিপক্ষের ব্যর্থতা- এসব এমনভাবে উচ্চকিত করা হয় যেন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যে উত্তীর্ণ হলো তার চেয়ে বিফল মনোরথ প্রতিভাবান ছাত্রের যোগ্যতা নিয়ে বিশ্লেষণ করাই একশ্রেণীর বোদ্ধার প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এর কিছুই এই সত্য ঢাকে না যে, ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে সফলতম দলটি নিকটতম সফলের চেয়ে ট্রফি সংখ্যা দ্বিগুণ করে নিয়েছে। ট্রানজিশন পিরিয়ড ফুটবলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এই সময়ে সাফল্যখরা চলে। অথচ এই ট্রানজিশন পিরিয়ডেই রিয়াল মাদ্রিদ লীগ-চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ডাবলসহ জিতে নিল তিনটি ট্রফি। তাই এই রিয়াল মাদ্রিদের সাফল্যকে কেবল ভাগ্যের চশমায় দেখা ফুটবলের স্বল্প-আলোচিত দিকগুলোর প্রতি অবজ্ঞা বৈ আর কিছু না।

Language: Bangla

Topic: This is an analytical article on Real Madrid's success in this season in different competitions.

Related Articles