Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ম্যানুয়েল নয়্যার: এক সুইপার-কিপারের কিংবদন্তি হওয়ার গল্প

৩০ জুন ২০১৪। ব্রাজিলে চলছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বের খেলায় মুখোমুখি জার্মানি ও আলজেরিয়া। ম্যাচের ৮ মিনিটের দিকে জার্মান ডিফেন্ডাররা সামনে এগিয়ে যাওয়ায় মাঠের বাম প্রান্তে ফাঁকা বল পেয়ে গেলেন আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড স্লিমানি লেইস্টার, নিশ্চিত গোলের হাতছানি। কিন্তু বাদ সাধলেন জার্মান গোলরক্ষক, বিপদ টের পেয়ে এরই মধ্যে গোলপোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসে ডি-বক্সের বাইরে এসে ট্যাকল করে বাঁচিয়ে দিলেন জার্মানদের।

সেই ম্যাচে তাকে এরকম আরও কয়েকবার ডি-বক্সের বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করতে হয়েছে। তার মধ্যে ছিল ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে (৮৮ মিনিটে) অরক্ষিত সোফিয়ান ফেঘৌলি থেকে বল ক্লিয়ার করা। পরে নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন গোলশূন্য থাকায় খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানে অ্যান্ড্রু শ্যুর্ল ও মেসুত ওজিলের গোলে জয় পায় জার্মানরা। কিন্তু ম্যাচশেষেও ঘোর কাটে না কারো, কী করলেন এই গোলরক্ষক গোটা ম্যাচজুড়ে! কেবল একজন গোলরক্ষকই ছিলেন না যেন। কখনো তার ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল বাঁচিয়ে নিজের সত্ত্বার জানান দিলেও এভাবে সামনে এগিয়ে এসে ডিফেন্ডারদের মতো ফাইনাল ট্যাকল করে বল ক্লিয়ার করতে দেখে তাকে বেকেনবাওয়ার-ফ্রাঙ্কো ব্যারেসির মতো সুইপার মনে হয়। কিন্তু এই সুইপিং তো একজন ডিফেন্ডারের কাজ! তিনি তো আদতে একজন গোলরক্ষক। তাহলে কি একজন গোলরক্ষকও ‘সুইপার’ হিসেবে খেলতে পারে?

ফুটবল ব্যাকরণের সাথে বাস্তবতার ধন্দ লাগিয়ে দেওয়া এই গোলরক্ষকের নাম ম্যানুয়েল নয়্যার। জার্মানির গোলরক্ষকের তালিকা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে সমৃদ্ধ। তারা মাঠে একের পর এক দুর্দান্ত সব গোলকিপার উপহার দিয়েছে। সেপ মেয়ার, শ্যুমাখার, বোদো ইগনার, অলিভার কান, জেন্স লেম্যান, কিংবা হালের টের স্টেগান – প্রত্যেকেই পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য, গড়েছেন দুর্দান্ত সব কীর্তি। এই তালিকারই আরেক বিশ্বমানের সংযোজন ম্যানুয়েল নয়্যার।

Image Credit: CARLES CARABÍ

জার্মানিকে চতুর্থবারের মতন বিশ্বজয়ী করতে নয়্যারের ভূমিকার জন্য তিনি হয়তো গোল্ডেন বলও জিততে পারতেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা জাদুকর মেসির হাতেই উঠে। এমনকি ব্যালন ডি ‘অর জয়ের দৌড়েও অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখানেও রোনালদো-মেসির পরে তৃতীয় স্থান লাভ করেন তিনি। তবে এই বিশ্বকাপের নয়্যারকে ফুটবল্প্রেমীরা একটু বিশেষ কারণেই মনে রাখবে। কেননা এই নয়্যারের হাত ধরেই যেন পূর্ণতা পেয়েছিল অন্য এক শিল্প। কী সেই শিল্প?

ফুটবল হচ্ছে গোলের খেলা। হাজার হাজার দর্শক গাঁটের টাকা খরচ করে মাঠে যায় নিজের দলের জয় দেখতে। আর এই জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয় গোলের দ্বারা। তাই যারাই নিজের দলকে এই গোল উপহার দেয়, তারাই সবার চোখের মণি। ম্যাচ জিতলে দলের ফরোয়ার্ড প্লেয়াররাই যেন অন্য সবার চেয়ে একটু বেশি প্রশংসা পায়। গোল বানিয়ে দেয়ার জন্য মাঝমাঠের খেলোয়ারেরাও সবার হাততালি শুনতে পায়।

কিন্তু এইদিক দিয়ে গোলকিপার ও ডিফেন্ডাররা ব্যতিক্রম। তাদের ভালো খেলা প্রায়ই সবার অগোচরে থেকে যায়। কিন্তু তারা একটা ভুল করলেই সবার রাগ গিয়ে পড়ে তাদের উপর। যেন সব দোষ তাদের একার। একের পর এক সমালোচনার তীর ধেয়ে আসতে থাকে তাদের দিকে, এমনকি আসে প্রাণনাশের হুমকিও (কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার আন্দ্রেস এস্কোবার)। গোলরক্ষকরা যেন আরোও অভাগা, ডিফেন্ডারের ভুলে গোল খেলেও দোষ যেন কিপারের কাঁধেই বর্তায়। এমনকি কোনো কোনো গোলরক্ষককে বাকি জীবন মানুষের চক্ষুশূল হয়ে থাকতে হয়েছে, এমনও নিদর্শন রয়েছে। এই যেমন ১৯৫০ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের ঘিগিয়ার কাছে গোল খাওয়ার জন্য ব্রাজিল গোলরক্ষক বারবোসাকে তার জীবনের বাকি পঞ্চাশ বছর ব্রাজিলের ফুটবলপ্রেমীদের চোখের বিষ হয়ে থাকতে হয়েছে। এ নিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন,

“ব্রাজিলের আইনে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ ৩০ বছর। কিন্তু আমার জন্য তা হয়ে গেছে ৫০ বছর। সেটাও এমন কিছুর জন্য, যার জন্য আমি সম্পূর্ণরূপে দায়ীও নই।” 

১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই বিখ্যাত গোল; Image Credit: Getty Images

তবে কিংবদন্তি সোভিয়েত গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিনের হাত ধরে সবাই বুঝতে পারে, গোলরক্ষকরাও ম্যাচ জেতাতে জানেন। এরপর গর্ডন ব্যাঙ্কস, সেপ মেয়ার, দিনো জফ, গোয়কচিয়া, অলিভার কান, ইকার ক্যাসিয়াসরা সেই ধারা অব্যাহত রাখেন। তবে ম্যানুয়েল নয়্যার বহু বছর পর প্রায় ভুলে যাওয়া একটি শিল্পকে শুধু জাগিয়েই তোলেননি, গড়ে তুলেছেন আরেকটি প্রজন্মও – যেখানে একজন গোলরক্ষকের ভূমিকা আরও আকর্ষণীয়, সুইপিং-কিপিং।

একজন সুইপার-কিপারের কাজ বুঝতে গেলে প্রথমে জানতে হবে একজন সেরা গোলরক্ষকের কী কী গুণ থাকতে হয়। অন্যসব প্লেয়ারদের মতো একজন কিপারেরও থাকতে হইয় পজিশন জ্ঞান, একনিষ্ঠ মনোযোগ, আত্মবিশ্বাস, রিফ্লেক্স। এই গুণের উপর ভর করেই একজন কিপার মাঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন (গোল বাঁচানো) করেন। তবে একজন সুইপার-কিপারকে এর পাশাপাশি আরও বড় কিছুর দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এবার আসা যাক সুইপারের কাজে। সুইপার হচ্ছেন সেই খেলোয়াড়, যারা ডিফেন্ডার ও গোলকিপারের মাঝামাঝি অবস্থান করে আক্রমণ প্রতিহত করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন। সুইপাররা অন্য সবার চেয়ে খেলাটিকে ভালো পড়তে পারেন বলেই তারা প্রতিপক্ষের আক্রমণকে ট্যাকল করে শেষ মুহূর্তে ভণ্ডুল করে দেন। সাধারণত ডিফেন্ডারদের একজনই এই ভূমিকা পালন করতেন। এই ভূমিকাতে বিশ্বসেরা ছিলেন জার্মানির ‘কাইজার’-খ্যাত ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ইতালির ফ্রাঙ্কো বারেসি, ফ্রান্সের লরা ব্লাঙ্করা। কিন্তু তাই বলে কিপাররাও এই ভূমিকা পালন করতে পারেন কি?

Image source: Chartystarts

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে পঞ্চাশের দশকে। সেই সময় অপরাজেয় ‘ম্যাজিক্যাল ম্যাগিয়ার্স‘-খ্যাত হাঙ্গেরি দলের গোলরক্ষক ছিলেন জিউলা গ্রোসিকস। পোস্টের সামনে তার অসামান্য তৎপরতার জন্য তাকে ‘ব্ল্যাক প্যানথার’ নামেও ডাকা হতো। তিনিই প্রথম কিপার হিসেবে ডিফেন্সের লাস্ট লাইন হিসেবে কাজ করতেন। ক্ষেত্রবিশেষে তাকেও ডি-বক্সের বাইরে এসে সুইপারের ভূমিকা নিতে হয়েছে। সেই সময়ের আরেক সুইপার-কিপার ছিলেন আর্জেন্টিনার অ্যামাদেও।

এরপর বহু বছরের অনুপস্থিতিতে এই শিল্পকে সবাই ভুলে যায়, যা নয়্যার শুধু ফিরিয়েই আনেননি, পূর্ণতাও প্রদান করেছেন। নিজের সুইপিং-কিপিং দিয়ে দলকে একের পর এক ট্রফি জিতিয়ে হয়েছেন ফুটবল কিংবদন্তি।

১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি) লম্বা এই সুইপার-কিপারের ক্যারিয়ার শুরু জার্মান বুন্দেসলিগার শালকে-০৪ ক্লাবে। এই ক্লাবের জুনিয়র স্কোয়াড থেকে শুরু হলেও পরে খেলেছেন সিনিয়র দলে। এই ক্লাবেই ২০০৬-১১ পর্যন্ত খেলেছেন, জিতেছেন ডিএফবি পোকাল, দলকে উঠিয়েছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে, জার্মানির অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে জিতেছেন ২০০৯ ইউরো। ২০১১ সালের জুনে বায়ার্ন মিউনিখে ট্রান্সফার হয়ে আসার পর নয়্যার একের পর এক ট্রফি জিতে গেছেন তার ক্লাব এবং দেশের হয়ে, রেখেছেন অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা। 

Image Credit: Roar Media

দেশের হয়ে ৯৮ ম্যাচের মধ্যে ৪৩টিতেই ক্লিনশিট; আর ক্লাবের হয়ে ৪৩৭ ম্যাচে মাত্র ৩৫৫ গোল কনসিড করেছেন – যা বুন্দেসলিগায় রেকর্ড। জার্মান লিগে তার আগে কারোরই ম্যাচপ্রতি গোল হজম করার হার একের নিচে নয়। সবচেয়ে কম ম্যাচেই (১৮৩) ১০০ ক্লিনশিট অর্জন করেছেন, বুন্দেসলিগায় সবচেয়ে বেশি ক্লিনশিটও তার। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এরই মধ্যে জিতেছেন ২২টি ট্রফি। তার মধ্যে ৯টি বুন্দেসলিগা, দুইটি করে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপের পাশাপাশি ডিএফবি পোকাল – কী নেই তার ট্রফি ক্যাবিনেটে! বায়ার্নের হয়ে জিতেছেন রেকর্ড দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল। অন্যদিকে, দেশের হয়ে জিতেছেন সব ফুটবলারের পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ। 

জার্মান জাতীয় দলে নয়্যারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১০ বিশ্বকাপ। কিন্তু প্রথম চ্যালেঞ্জেই তিনি দেখিয়ে দিলেন তার সামর্থ্যের প্রমাণ। সবাই এই তরুণ কিপারের রিফ্লেক্স ও ঠাণ্ডা মেজাজে মুগ্ধ হতে বাধ্য হলো। ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, স্পেনের মতো দলের বিরুদ্ধে করেছেন একের পর এক দারুণ সেভ। বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ক্লিনশিটের পাশাপাশি গোলকিপার হয়েও গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন একটি। ২০১০ বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করার পর যতদিন গেছে, নয়্যার হয়েছেন আরও পরিণত ও ধারাবাহিক।

এরপর বায়ার্নের হয়ে প্রথম মৌসুমেই (২০১১-১২) উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের টাইব্রেকারে রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-কাকার শট ঠেকিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেও সেখানে চেলসির কাছে টাইব্রেকারে হেরে ইউরোপজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। এর এক মাসের মাথায় ইউরোর সেমিফাইনালে ইতালির কাছে ২-১ গোলে হেরে জার্মানির হয়ে ইউরো জয়ের স্বপ্নও ধুলিস্মাৎ হয়ে যায়।

Image Credit: Getty Images

বারবার স্বপ্নভঙ্গে নয়্যার যেন আরও দুর্দান্ত হয়ে উঠেন। ২০১৩ সালেই বায়ার্নের হয়ে ট্রেবল জিততে রাখেন অগ্রগণ্য ভূমিকা, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৮টি দুর্দান্ত সেভ। সেইদিনের তরুণ নয়্যার সাত বছর বাদে ২০২০ সালে দলের অধিনায়ক হয়ে আরেকটি ট্রেবল জয়ে রেখেছেন অগ্রগণ্য ভূমিকা। ততদিনে অবশ্য কারো সন্দেহ নেই যে নয়্যারই বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক।

২০১৪ সালের নয়্যার যেন ২০১৩ এর চেয়েও ম্যাজিক্যাল। সেবারের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে গোল হজম করেছেন মাত্র ৪টি, ক্লিনশিট ধরে রেখেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনাল ও ফাইনালসহ চারটি ম্যাচেই, জিতেছেন গোল্ডেন গ্লাভস। জিতবেন না-ই বা কেন? ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের একদম শেষ মিনিটে বেনজেমার জোরালো শট যেভাবে দারুণ রিফ্লেক্সে ফিরিয়েছেন, তা এখনো সবার চোখে লেগে রয়েছে। এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই যেভাবে রোনালদো-পগবা-গ্রিজমান-অস্কার-হাল্ক-মেসি-হিগুয়াইনদের আক্রমণ প্রতিহত করেছেন, সেগুলোও হিসেবের খাতায় উঠবে বৈকি! 

Image Credit: Getty Images

ম্যানুয়েল নয়্যার সমগ্র ফুটবলবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, একজন কিপার কীভাবে মাঠে সুইপিংয়ের কাজও সফলতার সাথে করতে পারেন। দেখিয়েছেন কীভাবে দলের একদম শেষ লাইন ডিফেন্ডার হিসেবে কাজ করে দলের সেন্টারব্যাকদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা যায়। এজন্য তাকে অনেক সময়েই খেলার পরিস্থিতি, ডিফেন্ডার-ফরোয়ার্ডের অবস্থান বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে নিজের পোস্ট ছেড়ে সামনে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ট্যাকল করতে হয়েছে। বহুবার এমন হয়েছে যে প্রতিপক্ষ পাল্টা আক্রমণে ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে গোলের দিকে ছুটে আসছে, আচমকাই নয়্যার এগিয়ে এসে সেই পাল্টা আক্রমণে জল ঢেলে দিয়েছেন। আবার হয়তো ওয়ান-ভার্সাস-ওয়ান পজিশনে স্ট্রাইকারের সামনে নয়্যার সম্পূর্ণ একা অবস্থাতেই স্ট্রাইকারকে এমনভাবে কর্নার করে ফেলেছেন যে গোলে শট নেয়ার পর্যাপ্ত সুযোগটা পর্যন্ত থাকেনি। এমন পজিশনে তার থেকে কার্যকরী কিপার খুব কমই দেখা যায়।   

নয়্যারের আত্মবিশ্বাস, অসামান্য রিফ্লেক্স, অদম্য মনোবল ও ঠাণ্ডা মেজাজের জোরে তিনি ধারাবাহিকভাবে টানা এত বছর এই সুইপার-কিপারের দায়িত্ব এত সুন্দরভাবে পালন করে গেছেন যে, এখন কাউকে ভালো কিপার হতে গেলে প্রায় সময়েই সুইপিংয়ের কাজটাও করতে হয়। এখন কিপাররা ফরোয়ার্ডদের দিকে আগের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে সক্ষম হচ্ছেন। এতে খেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাথে উত্তেজনাও যেন বেড়েছে। একজন ম্যানুয়েল নয়্যার একাই যেন বদলে দিয়েছেন আধুনিক ফুটবলে গোলরক্ষকদের হালচাল। 

This article is in Bangla language. It is about the german goalkeeper Manuel Neuer who changed the concept of goalkeeping in modern era and went up to become one of the greatest GK of all time.  

Featured Image Credit: Marvin Ibo Guengoer/GES  

Related Articles